ওয়াল্ট ডিজনি, নেটফ্লিক্স, প্যারামাউন্ট পিকচার্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলোচনা ফলপ্রসূ করেছে অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার অ্যান্ড টিভি প্রডিউচার্স (এএমপিটিপি)।
গতকাল (৯ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে হলিউডে অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘট শেষ হয়েছে। ভালো সম্মানী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যাপক প্রভাবের উদ্বেগ থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থার দাবিতে গত ১৪ জুলাই থেকে আন্দোলন করছিলেন তারা। সম্মানী এবং এআই সমস্যা ছাড়াও অভিনয়শিল্পীদের জন্য পেনশন ও স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য হারে রয়্যালটি বৃদ্ধির দাবি তোলা হয় ধর্মঘটে।
১ লাখ ৬০ হাজার সদস্যের এসএজি-এএফটিআরএ’র ইতিহাসে এটাই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর চুক্তি। এর মাধ্যমে এসএজি-এএফটিআরএ সদস্যরা টেকসই ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের তিন বছরের চুক্তিতে ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর নতুন বোনাস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারিকুরিতে সাজানো ফুটেজ কোনো অভিনয়শিল্পীর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার না করার সুরক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ আছে চুক্তিতে। ফলে লস অ্যাঞ্জেলেস জুড়ে এখন উদযাপন চলছে।
অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরে আনন্দিত এএমপিটিপি। এর মধ্য দিয়ে গোটা হলিউড পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুরোদমে শুটিং শুরু হয়ে যাওয়ার কথা আজই।ধর্মঘটের ছবি
হলিউডে অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে মারভেল স্টুডিওসের ‘ব্লেড’, ‘ডুন: পার্ট টু’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে। ‘অ্যাভেঞ্জার্স: দ্য ক্যাং ডাইন্যাস্টি’ ও ‘অ্যাভেঞ্জার্স: সিক্রেট ওয়ারস’ এবং ‘মিশন: ইমপসিবল–ডেড রেকনিং পার্ট টু’ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পাক্কা একবছর। এছাড়া থমকে গেছে জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার থ্রি’ ও ‘অ্যাভাটার ফোর’, ডিজনির রিমেক ‘মোয়ানা’ ও ‘স্নো হোয়াইট’। হলিউড তারকারা ধর্মঘট চলাকালীন সমিতির নিয়ম মেনে নিজেদের সিনেমার প্রিমিয়ারের মতো কোনো ধরনের প্রচারণায় যোগ দেননি।অভিনয়শিল্পীদের আগে হলিউডের গল্পকার-চিত্রনাট্যকারদের সমিতি রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা (ডব্লিউজিএ) প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা ধর্মঘটের ইতি টানে গত সেপ্টেম্বরে। তাদের সদস্য ১১ হাজার ৫০০ জন। সিনেমা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করেন তারা।
লেখকদের পাশাপাশি অভিনয়শিল্পীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সিনেমা ও টিভি অনুষ্ঠানের কাজ বন্ধ ছিল। এ কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিতে এখন পর্যন্ত ৬৫৫ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি লোকসান হয়েছে।